গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপ একটি মারাত্মক ঝুঁকির নাম। প্রতিটি নারীর জীবনে মাতৃত্ব এবং প্রতিটি পরিবারে সুস্থ শিশুর আগমন আশীর্বাদ স্বরুপ। মাতৃত্বের জন্য গর্ভাবস্থা একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হলেও কখনো কখনো তা হয়ে উঠে ঝুঁকিপূর্ণ। এইসব ঝুঁকির মধ্যে অন্যতম হলো প্রেগন্যান্সিতে উচ্চ রক্তচাপ। এই উচ্চ রক্তচাপ ২ ভাবে ক্ষতির কারণ হতে পারে। যদি প্রেগন্যান্সির পূর্ব হতে এটি কোন মায়ের থাকে তবে সেটির যথাযথ কারণ নির্ণয় এবং উচ্চ রক্তচাপ সঠিক ও নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় আনা অত্যন্ত জরুরি। পূর্বে যে ঔষধ সমূহ খেয়ে প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করা হয় তা পরিবর্তনেরও প্রয়োজন হয়। কারণ তা না হলে বাচ্চার জন্মগত ত্রুটির জন্য এই ঔষধ দায়ী হতে পারে। তাই নিরাপদ ঔষধ গ্রহন জরূরী এবং সার্বিকভাবে মা গর্ভধারনের জন্য উপযুক্ত কি না এর জন্যও গর্ভপূর্ববর্তী পরিকল্পনা বা আলোচনার জন্য আসতে হবে আমাদের সেন্টারে। গর্ভাবস্থার পরে ২০ সপ্তাহের পর যদি উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দেয় বা ১৩৫/৮৫ এর বেশি থাকে তবে অবশ্যই গুরুত্ব সহকারে চিকিৎসা করতে হবে। এই উচ্চ রক্তচাপের কারণে মায়ের মস্তিষ্কে রক্তক্ষরন, লিভার, কিডনীর বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে, খিঁচুনী হতে পারে যা মা ও বাচ্চা উভয়ের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। বাচ্চারও ওজন কম হওয়া, পানি কমে যাওয়া, প্রিম্যাচ্যুরিটি ও এটি সম্পর্কিত বাচ্চার বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। NICU care লাগতে পারে। সুতরাং এই উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কখনো কখনো বোর্ড করেও চিকিৎসা দেওয়া হয়। বিভিন্ন পরীক্ষা সম্পাদন করে এবং সুন্দর ভাবে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সফল প্রেগন্যান্সি যাত্রা সম্পন্ন করার চেষ্টা করতে হবে। এর জন্য প্রেগন্যান্সি পূর্ববর্তী ও পরবর্তী উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ সহ সবধরণের ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থার চিকিৎসায় চলে আসুন আমাদের বাংলাদেশ হাই রিস্ক প্রেগনেন্সি কেয়ার এন্ড রিসার্চ সেন্টারে।